ইচ্ছেঘুড়ি ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে হুইলচেয়ার উপহার

“বইন আইজ পেরায় ৮ বৎসর পর বিরাইলং,এক সময় এই সাথীক নিয়া এই মেসনির পাড় কত বিরবার আসচ্ছং”
-আলেবুদ্দীন দাদা
যান্ত্রিক এই যুগে আমরা নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা যখন প্রকৃত ভালোবাসার প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছি,তখন আলেবুদ্দীন এবং মল্লিকা বেগমের স্বামী-স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা আমাদের মাঝে নতুন করে আশার জন্ম দেয়।
দাদা দাদী দুজনেই নুয়ে পড়েছেন বয়সের ভারে, দাদী হাটতে পারেন না প্রায় ৯/১০ বছর! একই ঘরে এতো দীর্ঘ সময় যাবৎ প্যারালাইজড অবস্থায় আছেন।
দাদার কাধ দুইটিই বহুদিন ছিল দাদীর হুইলচেয়ার।
নাওয়া খাওয়া থেকে শুরু করে দাদীর সমস্ত কাজ করে দিতেন ৭৫ বছরের দাদা। দারিদ্রতার সাথে লড়াই করা দাদার সামর্থ্য ছিল না দাদীকে হুইলচেয়ার কিনে দেয়ার। যার ফলে দীর্ঘ এত ত্যাগ করার পরেও দাদীর প্রতি বিন্দুমাত্র বিরক্তি জন্মায় নি।
তাদের দুঃখ কিছুটা লাঘবের জন্য ইচ্ছেঘুড়ি ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে দাদীকে হুইলচেয়ারটি উপহার দেওয়া হয়। শেষ বিকেলে ফেরার সময় দাদাকে যখন জিজ্ঞেস করছিলাম দাদীকে কতখানি ভালোবাসেন দাদার লজ্জামেশানো হাসি দেখেই বুঝতে পারলাম এই ভালোবাসা অমূল্য। আল্লাহ ভালো রাখুক দাদা দাদীকে।

21 thoughts on “ইচ্ছেঘুড়ি ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে হুইলচেয়ার উপহার”

Leave a Comment