“শপথ নিয়েছে ইচ্ছেঘুড়ি ফাউন্ডেশন,
শুধু সাহায্য নয়-চায় দারিদ্র্য বিমোচন”

ইচ্ছেঘুড়ি ফাউন্ডেশন

iccheghuri

আত্ননির্ভর -৩

মোছাঃ মর্জিনা খাতুন। সহায় সম্বল বলতে, বসত ভিটা ছাড়া আর কিছু নেই। তিন বোন আর এক ভাইকে নিয়ে ছিলো তার ছোট্ট সংসার। অল্প বয়সেই বাবা-মা হারানো মেয়েটিই, পরিবারের জ্যেষ্ঠ সন্তান। প্রকৃতির নির্মম পরিহাসে, যে বয়সে তার ব্যাগ কাঁধে করে শিক্ষা অন্বেষন করার কথা, সেই বয়সেই বাবা-মা হারানো এই পরিবারটির অভিভাবিকের দায়িত্ব এসে পড়ে তার উপরে, তাই পড়াশুনাটা আর করা হয়ে ওঠেনি।
একদিকে অল্প বয়স, আবার অন্যদিকে মেয়ে হয়ে সমাজের সকল ব্যঙ্গ বিদ্রুপকে উপেক্ষা করে, কখনো মানুষের বাসায় কাজ করে, কখনো দিন-মজুরী করে, নিজে অনাহারে থেকে ছোট ছোট ভাই-বোনদের মুখে এক বেলা খাবার তুলে দিয়ে তাদের জীবন বাঁচানোটাই যেনো ছিলো তার জীবনের মূল লক্ষ্য। এতো অভাবের মাঝেও তিনি তার ভাই বোনদের পড়াশুনা করাতে ভুলেননি।
বর্তমানে তিনি ৩৪ বছরের একজন মহিলা। অভাব-অনটন আর সংসারের চাপে বিয়েটা পর্যন্ত করা হয়ে ওঠেনি।
বয়সের ভাড়ে বিভিন্ন রোগের কারনে এখন আর আগের মতো পরিশ্রম করতে পারেন না। তাই ৩ বছর ধরে একটা বিদ্যালয়ে স্বল্প বেতনে আয়া হিসেবে কাজ করছেন তিনি। কিন্তু তার এই বেতনে, নিজেরা খেয়ে যেটুকু থাকে, তা দিয়ে ছোট বোনটার পড়াশুনার খরচ চালানো তাঁর জন্য যথেষ্ট কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
এমতাবস্থায় ইচ্ছেঘুড়ি ফাউন্ডেশন এর পক্ষ্য থেকে মর্জিনা খাতুনকে একটি সেলাই মেশিন তুলে দেওয়া হয়, যার মাধ্যমে তিনি আশে পাশের মানুষদের কাপড় সেলাই করে বাড়তি কিছু টাকা উপার্জন করতে পারবেন এবং তা দিয়ে তাঁর ছোট বোনের পড়াশুনার খরচ চালিয়ে নিতে পারতেন ইনশাআল্লাহ।
ঠিকানাঃ নাজিরা মিয়া পাড়া, খলিলগঞ্জ, কুড়িগ্রাম

Leave a Comment

Your email address will not be published.

0