আমাদের কথা

আমাদের সমাজে এমন কিছু মানুষ আছে, দারিদ্রতার কষাঘাতে যারা হাসতে পর্যন্ত ভুলে গেছে। আমাদের মৌলিক চাহিদা ৫ টি হলেও দুবেলা দুমুঠো খেয়ে বেঁচে থাকাই তাদের একমাত্র চাহিদা। আমরা বিভিন্ন সময়ে অনেকেই এসব হতভাগ্য মানুষদের সাহায্যে এগিয়ে আসি, যা প্রয়োজনের তুলনায় নিতান্তই অপ্রতুল। আবার বেশিরভাগ সময় সাহায্যের তুলনায় বিজ্ঞাপনটাই হয়ে উঠে মূখ্য উদ্দেশ্য।

এমনই যখন বাস্তবতা,তখন সম্পূর্ণ প্রচার বিমুখ থেকে সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে এসব দুঃখী মানুষের দুঃখ লাঘবের স্বপ্ন দেখে “ইচ্ছেঘুড়ি ফাউন্ডেশন”। ২০১৯ সালের পহেলা সেপ্টেম্বর একঝাঁক তরুন মানবতাবাদীদের অংশগ্রহণে যাত্রা শুরু করে মানবতার এ সংগঠন ।

ইচ্ছেঘুড়ি ফাউন্ডেশন এমন একটি বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে যেখানে একদিন সাহায্য গ্রহনের মত কেউ থাকবেনা।এ লক্ষ্যে বেকার যুবক ও কর্মহারা মানুষদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার জন্য “আত্ননির্ভর” প্রজেক্ট পরিচালনা করছে ইচ্ছেঘুড়ি ফাউন্ডেশন ।
ইচ্ছেঘুড়ি ফাউন্ডেশন বিশ্বাস করে অশিক্ষাই দারিদ্র্যের প্রধান কারণ।তাই সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করা এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছে আমাদের ফাউন্ডেশন।পাশাপাশি, গৃহহীন মানুষদের একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল উপহার দেওয়ার লক্ষ্যে ইচ্ছেঘুড়ি ফাউন্ডেশন “ইচ্ছেনিবাস” প্রজেক্ট পরিচালনা করছে।

তাছাড়াও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগসহ নানা প্রতিকূল অবস্থায় অসহায় মানুষদের পাশে আরো বড় পরিসরে দাঁড়ানো ,বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিৎসার সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের মাঝে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পৌঁছিয়ে দেওয়া সহ বিভিন্ন সমাজকল্যাণ মূলক কাজ আরো বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ইচ্ছেঘুড়ি ফাউন্ডেশন।এক কথায় বলতে গেলে-

“শপথ নিয়েছে ইচ্ছেঘুড়ি ফাউন্ডেশন,
শুধু সাহায্য নয়-চায় দারিদ্র্য বিমোচন”

সর্বোপরি আমাদের এ মহৎ কাজে সমাজের বিত্তবানরা উদার হৃদয় নিয়ে এগিয়ে আসবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

আমাদের সাথে যুক্ত হতে চান?

মানুষের জন্য কিছু করতে চান? আমরা আপনার মনের সুপ্ত সেই ইচ্ছা কে বাস্তবায়নে আপনাকে সহজগিতা করতে পারলে নিজেদেরকে কৃতজ্ঞ মনে করবো।